আপনার জন্য আরো লেখা
জাতীয় পুরস্কার জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তিবিশেষ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত পুরস্কার। বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কয়েক ধরনের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে বীরত্বসূচক খেতাব, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, একুশে পদক পুরস্কার, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ট্রাস্টের উদ্যোগে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
[post_ads]
বীরশ্রেষ্ট * বীর উত্তম * বীর বিক্রম * বীর প্রতীক
বীরশ্রেষ্ট * বীর উত্তম * বীর বিক্রম * বীর প্রতীক
- বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তিযোদ্ধাদের বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়।
- ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ০৭ (সাতজন) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে বীরশ্রেষ্ঠ (মরণোত্তর), ৬৮ জনকে বীর উত্তম, ১৭৫ জনকে বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
- ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"-র।
- বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবী ছিল "স্পেশাল অফিসার"।
- ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত "লায়লী-মজনু"।
- স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে বইমেলা শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড় আকার ধারণ করে।
- ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
- বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলা একাডেমি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান।
- একাডেমির কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাপরিচালক। এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন প্রফেসর মযহারুল ইসলাম, যিনি ২ জুন ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ তারিখ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
- বর্তমান ২০০৯ থেকে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন শামসুজ্জামান খান। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতি বাংলা একাডেমি. ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ সালে প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হয়। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরষ্কার। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরষ্কার প্রদান করে থাকে। এগুলো হলঃ
রবীন্দ্র পুরস্কারঃ
- বাংলা একাডেমী ২০১০ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতের চর্চা এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের মান নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। নগদ পুরস্কারের সঙ্গে একটি সম্মাননা প্রতীক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কারঃ
- ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-এর প্রবর্তক চিত্তরঞ্জন সাহার নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কারঃ
- অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার
- অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় 'পলান সরকার পুরস্কার'।
[post_ads_2]
একুশে পদক
- বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে একুশে পদক প্রবর্তন করেন।
- বঙ্গভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে প্রথমবারের মতো একুশে পদক প্রদান করা হয়। পরে কবি জসীম উদ্দীন ও বেগম সুফিয়া কামাল একুশে পদকে ভূষিত হন।
- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় একুশে পদক প্রদান করে।
- ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গনে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন।
- প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি পদক, একটি সম্মাননা সনদ, একটি রেপ্লিকা এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
- একুশে পদকে ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি পদক প্রদান করা হয়;যার নকশা করেছেন নিতুন কুণ্ডু।
- প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫,০০০ টাকা দেয়া হতো; বর্তমানে এটি ২ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
পুরস্কারের ১০টি ক্ষেত্রঃ
- ভাষা আন্দোলন;
- মুক্তিযুদ্ধ;
- শিক্ষা;
- গবেষণা;
- ভাষা ও সাহিত্য;
- শিল্পকলা;
- সাংবাদিকতা;
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি;
- সমাজসেবা ও
- অর্থনীতি।
স্বাধীনতা পুরস্কার
- ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে।
- প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
- প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ৫০ গ্রাম ওজন বিশিষ্ট পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়ন পত্র এবং সম্মাননা স্বরুপ নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
- প্রাথমিকভাবে প্রদানকৃত অর্থের পরিমাণ কুড়ি হাজার ছিল, তবে ২০১৩ সালে থেকে দুই লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়ে আসছে।
- বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ কমিটি স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া হয়ঃ
- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- চিকিৎসাবিদ্যা
- শিক্ষা
- সাহিত্য
- সংস্কৃতি
- ক্রীড়া
- পল্লী উন্নয়ন
- সমাজসেবা/জনসেবা
- জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন
- জনপ্রশাসন
- গবেষণা ও প্রশিক্ষণ
- সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন ক্ষেত্র
বেগম রোকেয়া পদক
- বেগম রোকেয়া পদক নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদান স্বীকৃতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় পদক।
- প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারী ভাবে এই পদক প্রদান করা হয়।
- নারী কল্যাণ সংস্থা ১৯৯১ সাল থেকে এই নামের একটি পদক প্রদান করা শুরু করে।
- সরকারী ভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়।
- পুরস্কৃত প্রত্যেককে এককালীন এক লক্ষ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে। বেগম রোকেয়া পদক প্রথম পান নীলিমা ইব্রাহিম (১৯৯৬)
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক
কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্ন্যয়নের লক্ষ্যে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কৃষি খাতে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালনে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
- ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৯/১৯৭৩ এর মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল” গঠন করা হয়
- ১৯৭৬ সালে উক্ত আদেশ বাতিল করে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার তহবিল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ প্রবর্তন করা হয়
- বিভিন্ন পর্যায়ে এই পুরস্কারের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন এর পর ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে ২০০৯ সনের ৩৯ নং আইন দ্বারা “জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” সংশোধন করে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল” করা হয় ।
- গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬” পাশ হয়
- আইন অনুযায়ী প্রতি বছর এ পুরস্কার দেয়ার বিধান থাকলেও বাংলা ১৩৮৩ (ইংরেজি ১৯৭৬-১৯৭৭) হতে কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হয়
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করা হয় ১০ টি বিষয়েঃ
১। কৃষি গবেষণা অবদান
২। কৃষি সম্প্রসারণে অবদান
৩। প্রাতিষ্ঠানিক/ সমবায়/ কৃষক পর্যায়ে উচ্চ মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরন ও নার্সারি স্থাপন।
৪। কৃষি উন্নয়নে জন সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরন প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজ
৫। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার
৬। কৃষিতে মহিলা দের অবদান
৭। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপন
৮। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনায়ন
৯। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগী চাষ
১০। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য চাষ
**জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রবর্তন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রদান করা হয়
**জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রবর্তন করেন। কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রদান করা হয়
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হচ্ছে।
- ১৯৭৫ সালের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ৪ এপ্রিল, ১৯৭৬ সালে প্রদান করা হয়।
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রথমবারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে লাঠিয়াল।
- চলচ্চিত্রে সার্বিক অবদানের জন্য পরিচালক জহির রায়হানকে মরণোত্তর একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
- প্রথমবার ১৯৭৬ সালে, ১২টি বিভাগে মোট ৪টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কার দেওয়া হয়ঃ ১। লাঠিয়াল, ২। সুজন সখী, ৩। বাদী থেকে বেগম, ৪। চরিত্রহীন ।
- ২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে।
- ১৯৮১ সালে কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি কারণ জুরি বোর্ড কোন চলচ্চিত্রকে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি।
- এছাড়া ২০০৮ সালে সরকার একসাথে ৪ বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করে (২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭)।
- পুরস্কার হিসেবে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
- আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
- এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার
- বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার হলো বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং বেসামরিক পুরস্কার।
- প্রতিবছর বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য একজন সাহিত্যসেবীকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।
- শিশুসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বছরে একজন সাহিত্যসেবীকে এ পুরস্কার প্রদান করে।
- বাংলা ১৩৯৬ সন (১৯৮৯ খ্রিঃ) থেকে এ পুরস্কার চালু করা হয়েছে। একজন কবি বা সাহিত্যিক জীবনে মাত্র একবার এ পুরস্কার লাভ করতে পারেন।
- এ পুরস্কার মরণোত্তর পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার বিধান নেই।
- শিশু একাডেমী পুরস্কারের মান নগদ ২৫ হাজার টাকা। পুরস্কৃত সাহিত্যিককে নগদ অর্থ, সম্মাননা প্রতীক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
নজরুল পুরস্কার
- জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা এবং নজরুলগীতির বিকাশে অবদানের জন্য প্রতিবছর ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
- এই পুরস্কারের মান নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। নগদ পুরস্কারের সঙ্গে একটি সম্মাননা প্রতীক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নজরুল পুরস্কার প্রদান করে।
- নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৫ সাল থেকে নজরুল-বিষয়ক কর্মকাণ্ডের (নজরুল গবেষণা, সংগীত সাধনা) জন্য বিভিন্ন গুণী ব্যক্তিত্বকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে।
- বিজয়ীকে এক লাখ টাকার সম্মানী, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার
- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার হলো বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং বেসামরিক পুরস্কার।
- প্রতিবছর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।
- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে থাকে।
- বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনন্য অবদান রাখার জন্য ১৯৭৬ সালে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা প্রবর্তন করেন।
- এরপর ছয় বছর নিয়মিত দেয়ার পর ১৯৮২ সাল থেকে এটি প্রদান বন্ধ হয়ে গেলেও ১৯৯৬ সাল থেকে আবার শুরু করা হয় পুরস্কার প্রদান করা।
ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের ক্ষেত্র হলো ক্রীড়া সংগঠক এবং ফুটবল, হকি, ক্রিকেট, সাঁতার, শুটিং, দাবা ও অ্যাথলেটিক্সে কৃতিত্ব প্রদর্শন। এ পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে একটি স্বর্ণপদক ও নগদ আট হাজার টাকা।
মন্তব্য