আপনার জন্য আরো লেখা
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারন
১) সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রধান কারন হলো জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব। আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারন হচ্ছে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।
২) বনভূমি ধ্বংস হওয়ার ফলে জীবের আবাসস্থল ধ্বংস হয় এবং জীব ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হওয়ার ফলে দুর্যোগ বেড়েই চলেছে।
৩) জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলে।
৪) বর্তমানে সব জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের কারণে মাটি কংক্রিটে ভরে যায়। মাটি পানি ধরে রাখার ক্ষমতা হারায়। ফলে বাংলাদেশ খরাসহ বিভিন্ন দুযোগের শিকার হচ্ছে।
৫) জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য গৃহ নির্মাণ করার জন্য নির্বিচারে গাছ কাটছে।
৬) নির্বিচারে পাখি নিধন করার ফলে এবং পাখির আবাসভূমি ধ্বংস করার ফলে।
৭) পাহাড় কাটা, নদীর তীরবর্তী বালি উত্তোলনের ফলে দুর্যোগ সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে চলেছে।
৮) পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের উদাসীন ধ্যান ধারণার ফলে পরিবেশগত সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
১) বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে দুর্যোগগত সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
২) উপকূলীয় বন সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করতে হবে।
৩) লবণাক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারে এমন ফসল উদ্ভাবন করতে হবে।
৪) ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, কলকারখানা ইত্যাদি অবকাঠামোর উন্নয়ন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়।
৫) জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন করে।
৬) জলবায়ু পরিবর্তনের কারন সম্পর্কিত ধারণা সবাইকে জানানো।
৭) টিভি, রেডিও ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয়ের এসব সংবাদ প্রচার করে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
৮) পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি
১) দূর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা দুযোগ মোকাবেলায় কাজে লাগবে এমন কিছু উপকরণ বাড়িতে আগেই গুছিয়ে রাখতে হবে।
২) দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য মূল্যবান সম্পদগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে।
৩) নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে পারি।
৪) প্রাথমিক চিকিৎসার বক্স ঘরে রাখতে হবে।
৫) দূর্যোগ কালে খাবার হিসেবে শুকনো খাবার আগেই মজুদ রাখতে হবে।
৬) টিভি, রেডিও, মাইক ও পারলে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে দূর্যোগের পূর্বাভাস প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) দূর্যোগের সময়ে জনসাধারণকে পরামর্শ প্রদান ও সেবা প্রদান পদধতির আওতায় আনতে হবে।